রাজবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ ফরিদপুুর রেলস্টেশনে স্টপেজ দাবিতে রেলগাড়ি অবরোধ করে আবারো মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার (১১ মে) ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে তারা রেললাইনের উপর শুয়ে পড়ে ট্রেন অবরোধ করে।
পরে পাকশীর ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে লিখিত আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হয়। এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (১১ মে) এ দাবিতে সমবেত হন স্থানীয়রা। ভোরে ট্রেনটি ফরিদপুর অতিক্রম করার আগে তারা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেলপথের উপর শুয়ে পরেন।
এসময় চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সেখানে বক্তব্য দেন সিনিয়র সিটিজেন অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, আবরার নাদিম ইতু, শরীফ খান, রুমন চৌধুরী, পারভেজ, তুহিন বিন আলমগীর প্রমুখ।
বক্তারা ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবি করে বলেন, গত ৫ মে একই দাবিতে মানববন্ধনের পর আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছি। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি সম্বলিত আবেদনও পাঠানো হয়েছে ই-মেইলে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেননি। একারণে শনিবার (১১ মে) আবার আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
এসময় রেল আন্দোলন কর্মী আবরার নাদিম ইতু ফরিদপুর রেলস্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেনের অনুরোধে রেলওেয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার সুমনের সঙ্গে কথা বলে জানান, বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা তাদের এব্যাপারে একটি লিখিত আবেদন পাঠাতে বলেছেন।
টিএইচ